শামীম আহমেদ হতে চলেছেন জামালপুর জেলা বি এন পি এর সাধারন সম্পাদক।

doinikjamalpurbarta

নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক জামালপুর বার্তা :শহরের মুএইখে মুখে জি ঠিকই শুনেছেন আপনারা। শামীম আহমেদ, এক সময়কার তুখোর বি এন পি নেতা হতে চলেছেন জামালপুর জেলা বি এন পি এর সাধারন সম্পাদক। এই খবর সবার মুখে মুখে।

আসলে কি তাই ?? ৯০ দশকের তুখোর এই নেতা শহরের মিয়াপাড়া য় বসবাস করলেও ব্যাবসায়িক কারনে বেশীর ভাগ থাকতে হয় বাজারি পাড়ায় মানে সকাল বাজার। শহরের সকাল বাজার খ্যাত বাজারি পাড়ায় পাইকারি মৎস বিক্রেতা হিসাবে বেশ নাম ডাক আছে তার এবং তার পরিবারের।

তার চাচা মনিরুজ্জামান ছিলেন আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট পৌর কমিশনার এবং তার আরতের অভিভাবক। শহর আওয়ামী লীগের আরেক নেতা এবং ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্ত্রাসী পলাতক বিজু আহমেদের সাথে আত্মীয়তার মেলা বন্ধন ধরেই শোনা যায় ভোট কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন গুলোতে চাচা ভাতিজাদের সিল মেরে কমিশনার বানানোর বিষয়ে তার বড় ভূমিকা ছিলো।

শুধু কমিশনার নয়, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের কুখ্যাত নেতা মির্জা আজমের নির্বাচনী বা হাত হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনীময়ে জামালপুর হাইস্কুল, ইকবালপুর গার্লস স্কুল, জিলা স্কুল, মার্চেন্ট একাডেমি, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের পার্থীর পক্ষে সিল মেরে বি এন পি পার্থীকে পরাজিত করার বিষয়টি শহরের সকলের জানা।

প্রতিটি নির্বাচনে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে ভাড়াটে ক্যাডার হিসাবে দেখা গেছে তাকে গত ১৫ বছর।

বি এন পির গত ১৫ বছরের কোন কার্যক্রমে তাকে না দেখা গেলেও গত ৫ আগষ্টের পর থেকে বেশ নড়ে চড়ে বোসতে দেখা যাচ্ছে তাকে।

বি এন পির কেন্দ্রীয় ট্রেজারার জনাব রাশেদুজ্জামান মিল্লতের মদদনে বর্তমানে শোনা যাচ্ছে তিনি হতে যাচ্ছেন জেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক।

একজন আওয়ামী ঘরনার মানুষ, চাদাবাজ, সন্ত্রাসী যদি সত্যিই জেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক হয়, যে কিনা গত ১৬ বছরে এক দিনের জন্যেও রাজ পথে আসে নি, যার রাজনীতি শুধু সকাল বাজার ঘিরেই তাকে জেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক বানানো হলে, বা জেলা বিএন পির কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয় হলে ক্ষতি শুধু বি এন পির না, ক্ষতি হবে পুরো জামালপুর বাসীর।

SHARES

Picture of Prabhatitelevision

Prabhatitelevision

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ