এম.এইচ.রিয়াদ :
জামালপুরের ৯ নং রানাগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আব্দুল লতিফ। তার বিরুদ্ধে গত সাত-আট মাসে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সে,গর্ভবতী কার্ড,দোকান ভাড়া,চাকরির প্রলাপ দেখিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রানাগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রমজান আলী অভিযোগ করে বলেন, কেউ জন্মসনদ ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে সচিবকে ২০০-৩০০ টাকা দিতে হয়। তার কাছে হোল্ডিং,মাসিক দোকান ভাড়া,গর্ভবতী কার্ডের জন্য ঘুষ, ট্রেড লাইসেন্সে সহ ১ কোটি রয়েছে। সরকার পতনের পর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল জলিল আসছে না। পরিষদের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব সচিব দেখেন। সচিবের কাছে পরিষদের হোল্ডিং, ট্রেড লাইসেন্সের টাকার হিসাব চাইলে দিচ্ছে না। এছাড়াও পরিষদের পুরো দায়িত্বভার সচিব নিজেই দেখেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদিনই মানুষের অভিযোগ থাকে। মোঃ আ: কুদ্দুস কদর নামে আরেক ইউপি সদস্য জানান, পরিষদের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ সচিব দেখেন। গত ৭-৮ মাসের পরিষদের হোল্ডিং, ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রায় ১ কোটি টাকার হিসাব দিচ্ছেন না। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জন্মসনদ, ওয়ারিশ সনদে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল জলিল কার্যালয়ে আসেন না। প্যানেল সবগুলো চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারাও পরিষদে আসছেন না। তখন থেকে পরিষদের যাবতীয় হিসাব সচিব একাই দেখেন। অভিযুক্ত ৯নং রানাগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, জন্মসনদ, ওয়ারিশ সনদের ফি বাবদ ১০০ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া কোনো হোল্ডিং, দোকান ভাড়া,গর্ভবতী কার্ড এর ঘুষ, ট্রেড লাইসেন্সের টাকা আত্মসাৎ করিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি দৈনিক জামালপুর বার্তা ডটকম কে জানান, রানাগাছা ইউনিয়ন পরিষদে কিছু ঝামেলা হয়েছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।।