ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে জিডি করলেন বকশীগঞ্জ পৌর সচিব।

doinikjamalpurbarta

নিজস্ব প্রতিনিধি বকশীগঞ্জ দৈনিক জামালপুর বার্তা

চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নেয়া ঘুষের সাড়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো কাল্পনিক অভিযোগে ভুক্তভোগী চাকরি প্রত্যাশী বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বকশীগঞ্জ পৌরসভার সচিব (পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা) মো. নুরুল আমিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তী গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে বকশীগঞ্জ পৌরসভায় মাস্টার রোলে (অস্থায়ী চাকরি) কাজ করে আসছেন। এ অবস্থায় পৌরসভার সচিব মো. নুরুল আমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।

এক পর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাককে স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি বকশীগঞ্জ পৌরসভায় একাধিক জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি জারির পর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি পাইয়ে দিতে পৌর সচিব আব্দুর রাজ্জাকের কাছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। একপর্যায়ে পৌর সচিবের প্রলোভনে ২০২৩ সালের ১২ মে নুরুল আমিনকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ দেন আব্দুর রাজ্জাক।

শেষ পর্যন্ত চাকরি না পেয়ে পৌর সচিবের কাছে ঘুষের সেই টাকাগুলো ফেরত চান আব্দুর রাজ্জাক। পৌর সচিব টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। উল্টো তাকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে ৪ সেপ্টেম্বর বকশীগঞ্জ থানায় আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন পৌর সচিব মো. নুরুল আমিন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে পৌরসভায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পৌর সচিব মো. নুরুল আমিন আমার কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু তিনি চাকরিও দেননি। সেই টাকা ফেরতও দেননি। সেই টাকা ফেরত চাইলে উল্টো আমার বিরুদ্ধেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। মূলত টাকা দেবেন না বলেই তিনি থানায় আমার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। ১১ সেপ্টেম্বর আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে আমার টাকাগুলো ফেরতসহ পৌরসচিবের বিচার দাবি করেছি।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পৌর সচিব মো. নুরুল আমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বানোয়াট। আমাকে হুমকি দেওয়ার কারণে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। তবে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অহনা জিন্নাত এ প্রতিবেদককে বলেন এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

SHARES

Picture of Prabhatitelevision

Prabhatitelevision

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ